খুলনায় ওয়েস্টার্ন ইন হোটেল থেকে উদ্ধার নারীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। তার পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে পুলিশ। মিলছে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। তার জন্ম সনদের ঠিকানাও ভুয়া। ওই নারীর মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ টি মোবাইলের সিম উদ্ধার করে। যার একটি অকেজো এবং অপরটি বিদেশী ও বাকী চারটি সচল আছে। প্রত্যেকটি সিম বিভিন্ন ব্যক্তির নামে উত্তোলন করা।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত তার সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুলে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, মৃত ওই নারী প্রতারক স্বভাবের ছিলেন। তার পরিচয় নিয়ে রীতিমত আমরা বিভ্রান্তিতে রয়েছি। ওই নারীর কাছে থাকা সনদের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে তার পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। তাছাড়া তার কাছে কয়েকটি মোবাইল কোম্পানির সিম পাওয়া গেছে। সেগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির নামে উত্তোলন করা হয়েছে। তাছাড়া তার বালিশের পাশ থেকে দু’পাতা ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করা হয়। যার প্রতিটি পাতা খালি ছিল।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যার আগে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। ওই নারী খুলনার বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন ছদ্মনামে অবস্থান করতেন এবং সেখানে ১০-১২ হাজার টাকা বিল বাধিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতেন। ওই নারীর মোবাইল ফোনের ইতিহাস পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে তিনি নিজেকে কখনও শান্তা ইসলাম আবার কখনও আসামা নামে পরিচয় দিতেন। আমরা তার কাছ থেকে দেড়শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জন্ম সনদ দেখিয়ে খুলনার হোটেল ওয়েষ্টান ইনে ওঠেন ওই নারী। সেখানে তিনি নিজেকে শান্তা ইসলাম ওরফে আসামা নামে পরিচয় দেন। শুক্রবার সকালে ওই নারী হোটেলে নাস্তা করেন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার কক্ষ পরিস্কার করতে গেলে ভেতর থেকে কোন সাড়া না দেওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হোটেলে পুলিশ গিয়ে কক্ষের ছিটকনি ভেঙ্গে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে